জেলা-সংবাদধর্মধর্মীয় অনুষ্ঠানসংগঠন সংবাদ

ফেনীতে বর্নিল আয়োজনে গনেশ পূজা উদযাপন

মাতৃ ও পিতৃ পূজা, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলন, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

শহর প্রতিনিধি

ফেনী জেলা গনেশ পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে ফেনীর ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্র্রী শ্রী জয়কালী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, আলোচনাসভা ও গীতাপাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান।

গনেশ পূজা-২০২৩ উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রী বাবুল দেব নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী শুসেন চন্দ্র শীল।

আযোজক কমিটির অন্যতম সারথী শ্রী নয়ন মজুমদারে সঞ্চালনা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী শুকদেব নাথ তপন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক শ্রী অনিল নাথ, ফেনী জয়কালী বাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তপন কুপার দাস।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্ত্যব্য প্রদান করে শ্রী পলাশ নাথ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, গনেশ পূজা উদযাপন কমিটি।

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, উপস্থিত ভক্তববৃন্দ সহ সকলের অংশগ্রহনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী আলোময় করে তোলে মন্দির প্রাঙ্গন। যা অনুষ্ঠানের মাঙ্গলিকতাকে শ্রী বৃদ্ধি করে।

এছাড়া তিনটি বিভাগে গীতাপাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়

ক বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করে অবন্তিকা রায়, ২য় স্থান অর্জন করে পারিজাত শীল, ৩য় স্থান অর্জন করে অনন্যা আচার্য্য।

খ বিভাগ- ১ম স্থান অর্জন করে আদৃতা শীর, ২য় স্থান অর্জন করে অনিরুদ্ধ পাল, ৩য় স্থান অর্জন করে অংকুর মজুমদার।

গ বিভাগ- ১ম স্থান অর্জন করে প্রিয়ন্তি রানী ভৌমিক, ২য় স্থান অর্জন করে অন্বেষা পাল, ৩য় স্থান অর্জন করে বাঁধন সাহা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা এক তবুও আমরা মানুষে মানুষে বিবেধ তৈরী করি। বিশেষ করে আমাদের সনাতন ধর্মের মানুষগুলে অতিতের ছেয়ে ধর্মীয় আচরন গুলো থেকে পিচনে সরে আসছে। এখনকার সময়ে হিন্দু নারীরা কপালে সিঁদুর দিতে সংকোচ বোধ করে, পঞ্চাশ উর্ধ্বে পুরুষ মানুষগুলো ধূতি পরা ছেড়ে দিয়েছে, এমনকি ব্রাক্ষনগনও ধূতি পরতে কৃপনতা করে। কিন্তু আমার প্রশ্ন কেন এত ভয় ও সংকেচ। এটা আমাদের সংস্কৃতি, এর ধরাবাহিতা রক্ষা করতে হবে। প্রচলিত নিয়ম বা নিজস্ব সংস্কৃতিতে চলতে গিয়ে যদি আমরা বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকি তাহলে আমরা বুঝবো সরকার দেশের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
তিনি আরো বলেন এ অঞ্চলে গনেশ পূজার প্রচলন ছিল না, এটি ভারতবর্ষের একটি রাজকীয় পূজা। তবে ফেনীর তরুন সমাজ তথা গনেশ পূজা উদযাপন কমিটি তাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে চর্চা করছে। বিশেষ করে তারা নিজের মা বাবাকে পূজা করার মাধ্যমে বাস্তবিক দেবতা পূজার শুভ সূচনা করে চলছে। এতে করে বিবেক জাগ্রত হবে, মা বাবার প্রতি ভালোবাসার মাত্রা বহুগুন বৃদ্ধি পাবে। এটি সনাতনী সমাজের জন্য শুভ সংবাদ। তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button