নিজস্ব জায়গায় বীণাপানি ক্লাবের দুর্গোপুজোর প্রস্তুতি
থাকবে ব্যতিক্রমি আয়োজন ও অনুষ্ঠান মালা।
নিজস্ব প্রতিবেদক-
সালটি ছিল ১৯৪৩, কালীদহ ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া গ্রামের কিছু সংখ্যক যুবক সংগঠিত হয়ে গঠন করে একটি ধর্মীয় সংগঠন। নাম দেওয়া হলো বীণাপাণি ক্লাব।
মুলত ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার উদ্দেশ্যে এ সংগঠনের যাত্রা। দীর্ঘ সময়ের পর ১৯৯১ সালে প্রথম শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন। প্রথম থেকে সামান্য পরিসরে ক্লাবের নিজস্ব জায়গায় শুরু করলেও পরবর্তীতে পূজোর পরিধি ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য স্থানান্তর করা তুলাবাড়িয়ার অন্যতম একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনে। ঐ প্রতিষ্ঠানে দুই যুগেরও বেশি সময় দূর্গা পূজার আয়োজন ছিল চোখে দেখার মতো। দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত এক নামে বীনাপানি ক্লাবের পূজা দেখার জন্য ভীড় জমাতো।
বীনাপাণি ক্লাবের অন্যতম সদস্য শ্রী বিক্রম পাল বলেন, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ শ্রী অক্ষরানন্দ মহারাজের নির্দেশনা ছিল যতদিন বীণাপাণি ক্লাব চাইবে ততদিন দুর্গাপূজা শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন যেহেতু দূর্গোপূজোর আয়োজন করতে গেলে অনেকদিন আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। বিশেষ করে পেল্ডেল নির্মান, প্রতিমা তৈরী ও আনুষাঙ্গিক অনেক কাজ থাকে এতে রামকৃষ্ণ মিশনের নিত্য কাজ গুলো ব্যহত হয়।
তাই এবার বড় পরিসরে বীণাপানি ক্লাবের নিজস্ব জায়গায় ৩৪তম শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবং সকল ভক্তবৃন্দ প্রতি বছরের মতো পূজা দেখতে আসবেন সে কামনা করি।