
বিশেষ প্রতিনিধি-
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতুভাঙ্গার রসুলপুর গ্রামের বিরেন্দ্র কুমার দাস, (৭৫) পিতা- জলধর চন্দ্র দাসের পরিবার থেকেও নেই। এমনকি তিনি কোথায় আছেন কেমন আছেন সে খবর নেওয়ার ও মানুষ নেই, এটি নিতান্ত পরিতাপের বিষয়।
তিনি জানার তার বয়স ৭৫ পঁচাত্তর শেষ। সামনের দিনগুলো কেমন যাবে সে চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে তার দেহ ও মন। আবার সুস্থভাবে যদি মারা যান তাহলে বেওয়ারিশ লাাশ মনে করে হলেও কেউ না কেউ শেষকৃত্য করতে পারে। তবে যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তার কি হবে? কে দেখবে তাকে? এমন চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রতিনিয়ত মাথার মধ্যে।
তাই তিনি একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন আমাদের নিকট। যেখানে তার মনের ব্যথাযুক্ত কথাগুলো প্রকাশ করেছেন। কথাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
আমি বিরেন্দ্র কুমার দাস, আমার স্ত্রী থেকেও নেই তেমনি ভাবে ছেলে মেয়ে নেই, আমি একজন নগন্য মানুষ, নিরাপরাধ হয়েও কারো চোখে অপরাধী, সর্বহারা মানুষের মতো আমার অবস্থান,
আছে মাত্র গৌবিন্দ, আমি জান আমি যদি জেনে শুনে কোন অপরাধ করে থাকি তার বিচার তোমার নিকট রহিল। সকল কৃষ্ণ ভক্তের চরনে প্রনাম 🙏 ইতি- বিরেন্দ্র।
অর্থাৎ কোন কারন বশতঃ তার পরিবারের সকল সদস্য তাকে ভুল বুঝতেছেন। পরিবার থেকে তিনি দুরে সরে এসেছেন অভিমান করে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তার অভিমান ভাঙ্গানোর মানুষ নেই। তাই তিনি বুকের জমানো ব্যাথা কান্নার লোনা জলে বালিশ ভিজিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বৃদ্ধ বয়সে এমন করুন পরিনিতি কোন পিতার যেন না হয়, সে কামনা থাকবে আমাদের।