ফেনীতে জাতীয় পর্যায়ে গীতাপাঠ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
শহর প্রতিনিধি
জাতীয় পর্যায়ের শ্রীমদ্ভাগবত গীতাপাঠ প্রতিযোগিতার চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা অঞ্চলের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় ফেনী ট্রাংক রোড়স্থ জয়কালী মন্দির প্রঙ্গনে।
শনিবার ১২ আগষ্ট বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফেনী জেলা শাখার সভাপতি ও কুমিল্লা আঞ্চলের গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার আহবায়ক এবং ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী শুসেন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
ফেনী পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুরঞ্জিত নাগ ও দাগনভূঞা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শ্রী নয়ন মজুমদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শ্রী নারায়ন সাহা মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা অঞ্চলের শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রী বিপ্লব দে, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এড. শ্রী প্রিয়রঞ্জন দত্ত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ফেনী জেলা শাখার সভাপতি শ্রী শুকদেব নাথ তপন,ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অনিল নাথ, জয়কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তপন কুমার দাস।
অনুষ্ঠনে পবিত্র গীতাপাঠ এবং শোকাবহ আগষ্ট মাস হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিটিন নিরবতা পালন করে শদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শ্রী শান্তি রঞ্জন চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এড. সমীর কর, ফেনী পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সময় দেব নাথ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী তপন বসাক, সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সহদেব দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী মরন দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা ও কুমিল্লা মহানগর, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি সম্পাদকগন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, নি-সন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। যে কোন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভা সৃষ্টি হয়। ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন পাশাপাশি পড়ালেখাও ঠিক রাখতে হবে, যেন তোমাদের দ্বারা সমাজ, পরিবার উপকৃত হয়।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যে সংবিধান উপস্থাপন করেছেন তাতে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মের মানুষ যার যার ধর্মীয় রীতি নীতি পালণ করবে সে লক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কিত করা হলো। তবে আমরা তার স্বপ্ন পুরনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে (৩য় শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি)
১ম স্থান অর্জন করে অবন্তীকা কর, পিতা- মিঠুন চন্দ্র কর, মাতা- অনিতা রানী কর, শ্রেণি-তৃতীয়, উত্তর বিরিঞ্চি, কলাবাগান, ফেনী সদর, ফেনী।
২য় স্থান অর্জন করে আবৃত্তি ভৌমিক অত্রি, পিতা- বিপ্লল চন্দ্র নাথ, মাতা- মমতা রানী নাথ শ্রেণি-সপ্তম, সদর উপজেলা, লক্ষীপুর।
তৃতীয় স্থান অর্জন করে আদ্রিজা সাহা, পিতা-সৈকত সাহা, মাতা- তুষী সাহা, শ্রেণি-৬ষ্ঠ, লালমাই, কুমিল্লা।
খ বিভাগে (অষ্টম থেকে থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত)
১ম স্থান অর্জন করে, অনুশ্রী রানী নাথ অর্পিতা, পিতা- নিরুদ দেব নাথ, মাতা- প্রনতী রানী নাথ, শ্রেণি- ১০ম, দঃ কোলাপাড়া, পরশুরাম, ফেনী।
২য় স্থান অর্জন করে তনয় পাটোয়ারী, পিতা- দিলিপ কুমার পাটোয়রী, মাতা- দিপ্তি পাটোয়ারী, শ্রেণি- দ্বাদশ, নোয়াখালী।
তৃতীয় স্থান অর্জন করে, রাজশ্রী বনিক, পিতা- সুব্রাজ বনিক, মাতা- রুমি সাহা, শ্রেণি-অষ্টম।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের কে ক্রেষ্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এবং আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে অংশগ্রহন করবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীগন।